Role of CAG in a Constitutional Democracy

According to the constitutional scheme of Bangladesh, Parliament exercises the financial control through approving budget (ex ante) and scrutinizing the audit reports on Public Accounts (ex post). The ex post control is operationalised through Public Accounts Committee (PAC) which is established directly from constitutional provision. This committee plays the instrumental role on behalf of the Parliament for ensuring accountability of the executive. 

For effective functioning of PAC, audit reports from the Comptroller and Auditor General (CAG) act as the main source of information in scrutinizing whether the funds approved by the Parliament have been utilized for the intended purpose and expenditure has been incurred in line with the authority and procedure which governs it. CAG provides independent assurance to PAC neither as a part of the executive nor as an officer of the parliament rather as a constitutional functionary. The role of CAG under the constitutional framework in the process of establishing parliamentary control over the executives is unique which has a historical legacy.  Former CAG , Mr. Muhammad Muslim Chowdhury in his speech delivered on 11th March 2019 in the first meeting of newly formed PAC of the 11th national parliament, explained the role of CAG, and how it interacts with the major organs of the state in a constitutional democracy.

This visionary speech not only explicates the role and position of CAG but also informs PAC and the executives about massive reforms taking place in Public Financial Management especially in the payment, accounting and auditing domain.

CAG's Speech : 

বাংলাদেশের দ্বাদশ কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল জনাব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী’র মতো অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান পাবলিক একাউন্টস্ কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। সেইসাথে এই কমিটির যাঁরা সদস্যপদ লাভ করেছেন তাঁদের এমন সৌভাগ্যের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন যে, এই কমিটির সদস্যপদ লাভ তাঁদের Credential এ একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে যা তাঁরা কখনই ভুলবেন না।

বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি), সংবিধানে অডিটর জেনারেল হিসাবে যিনি অধিক উল্লেখিত, একাদশ সংসদের পাবলিক একাউন্টস্ কমিটির প্রথম সভায় অনুভূতি ব্যক্ত করেন যে, এই সভাস্থলের একদিকে কমিটির মাননীয় সদস্যবৃন্দ, অপরদিকে সারিবদ্ধ নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ যেখানে অর্থসচিব হিসাবে তিনি একসময় বসেছেন, এখন তিনি সভাস্থলে দু’গ্রুপের মাঝখানে অবস্থান করছেন। সংবিধানের আলোকে তাঁর এই অবস্থানের একটি ব্যাখ্যা তিনি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ যথা এক্সিকিউটিভ, লেজিসলেটিভ এবং জুডিশিয়ারি এর কোনটির মধ্যেই অডিটর জেনারেলের অবস্থান নয়। তাই বলে Auditor General is not hanging in the balance. বরং সংবিধানের ৪র্থ ভাগে যেমন এক্সিকিউটিভ, ৫ম ভাগে লেজিসলেটিভ তেমনি ৮ম ভাগে অডিটর জেনারেলকে রাখা হয়েছে। আর সে কারণে ব্রিটিশ ভারতের একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানের মতে, “Auditor General is a civil servant by training, he deals with civil service and all of his subordinates are civil servants.” সুতরাং অডিটর জেনারেলের অবস্থান হ’ল He is a lone wolf in the pack, his constitutional position isolates him. সে কারণে সভাস্থলে কমিটির সদস্য, নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অডিট বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দের সংযোগস্থলে তাঁর অবস্থান হতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, তিনি এক্সিকিউটিভ বা civil servants- দের কেউ নন। আবার কমিটির সদস্যবৃন্দেরও কেউ নন।

তিনি আরও বলেন যে, পাবলিক একাউন্টস কমিটি ভীষণ শক্তিশালী একটি কমিটি। এর গুরুত্ব এতই যে পুরো একটি সরকারের জবাবদিহিতা এই কমিটির মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়। আর এই জবাবদিহিতার মাধ্যম হচ্ছে অডিটর জেনারেলের রিপোর্ট। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের রুলস অব প্রসিডিউরের পাবলিক একাউন্টস কমিটি সম্পর্কিত প্রায় প্রতিটি অনুচ্ছেদে অডিটর জেনারেলের রিপোর্টের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ অডিটর জেনারেলের রিপোর্ট ছাড়া কমিটি বস্তুতপক্ষে Handicapped হয়ে পড়ে। সেকারণেই আমাদের Historical legacy তে অডিটর জেনারেলকে কমিটির Friend, Philosopher and Guide হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

কমিটির প্রথম সভায় অডিট অধিদপ্তরের সকল মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের ন্যায় অভিজ্ঞ civil servant গণকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিমন্ত্রণ করায় তিনি কমিটির মাননীয় সভাপতিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। অডিটি এবং অডিটরের সম্মিলিত উপস্থিতি সেই সাথে কমিটির সদস্যবৃন্দ যাঁরা Audit Process এর মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগকে জাতীয় সংসদের নিকট Accountable করে তোলেন তাঁদের অংশগ্রহণে পারস্পরিক View Points এর আদান-প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সরকারের হিসাব প্রণয়নে দীর্ঘসূত্রিতা বিষয়ে হিসাব মহা নিয়ন্ত্রক, যিনি একাধারে সরকারের চীফ একাউন্ট্যান্ট এবং পে-মাস্টার জেনারেল, তাঁর কথার সূত্র ধরে বাংলাদেশের দ্বাদশ অডিটর জেনারেল বলেন যে, সমগ্র বাংলাদেশ হতে ১২ মাসেই প্রতিনিয়ত ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট হতে পেমেন্ট ভাউচার তৈরি হচ্ছে, যা ম্যানুয়াল সিস্টেমে প্রসেস করা হচ্ছে। উপরন্তু ম্যানুয়াল প্রসেসে যদি কন্ট্রোল এনভায়রনমেন্ট দূর্বল হয় তাহলে পেমেন্ট যথাসময়ে হলেও Consolidated Account পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে। এটা শুধুমাত্র এক্সিকিউটিভদের দোষ নয়, এটা সর্বত্রই ঘটে এবং এটাই Human Psychology। আর এখানেই পাবলিক একাউন্টস কমিটির ভূমিকা মূখ্য হয়ে ওঠে। কমিটির মাননীয় সদস্যবৃন্দ এক্সিকিউটিভকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করে এ বিষয়গুলোকে সময়ানুবর্তি করে তোলেন।

তবে There is a silverlining আর তা হ’ল Budget Preparation, Budget Execution, Payment and Accounts, এই চারটি step সমগ্র বাংলাদেশে একটি Automated Platform এ চলে এসেছে। কিন্তু কভারেজ এখনও কমপ্লিট হয়নি; যেমন- বিদেশস্থ বাংলাদেশের মিশনসমূহ, Forest Department এর দূরবর্তী অফিস, বিভিন্ন হেড পোস্ট অফিস এখনও Automated Platform এ আসেনি। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী ২ বছরের মধ্যে আলোচ্য ক্ষেত্রসমূহ Automated Platform এ চলে আসবে। আর তখন এই সিস্টেমে entry না দিয়ে কোন পেমেন্ট করা সম্ভব হবে না। ইতোমধ্যে ধীরে ধীরে পেমেন্টের জন্য চেক দেয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং EFT’র মাধ্যমে পেমেন্ট করা হচ্ছে। তিনি মাননীয় সভাপতিকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন যে, এটা কোন অলীক বা অসম্ভব আকাক্ষা নয়, মাননীয় সদস্যবৃন্দ যদি এরকম ডাইরেক্টিভস দেন তবে সবাই মিলে চেষ্টা করলে দ্রুতই এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। iBAS++ বা Automated Platform এর কভারেজ বাড়লে অডিটকেও আপডেট করে নেয়া সম্ভব হবে। কেননা অডিটের দীর্ঘসূত্রিতার অন্যতম কারণ হল হিসাবের দীর্ঘসূত্রিতা।

তবে এগুলোকে আমরা পেছনে ফেলতে চাই। পুরনো ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে গেলে স্বভাবতই Frustration চলে আসে, সুতরাং আমাদের উচিত চলতি বা Current ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা। আমরা কনকারেন্ট অডিট শুরু করতে পারি কেননা সরকারি অডিট কোন কোম্পানির অডিটের মতো নয় যে তা বছর শেষে করতে হবে। তিনি মনে করেন যে Automated Environment এ Real Time Basis এ প্রণীত হিসাব এর উপর ভিত্তি করে প্রতি তিন মাস অন্তর ঐ হিসাবের অডিট পরিচালিত হতে পারে। এটা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার মতো শোনালেও সকলের প্রচেষ্টা থাকলে এটা দ্রুতই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। কমিটি সচিবালয় হতে যে সমস্ত কোয়েরি করা হয়েছে সেগুলোর প্রকৃতি ও গুণগতমান নিয়ে অডিটর জেনারেল প্রশংসা করেন। সর্বশেষে তিনি বলেন যে , পূর্বে যদি কোন অডিটর জেনারেল এ ধরণের আশাবাদ ব্যক্ত করতেন তবে তা অলীক কল্পনার মতো শোনাতো। কারণ সে সময় তাঁকে মানুষের (Human Resource) উপর নির্ভর করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটালাইজেশনের যে Wave সৃষ্টি হয়েছে তাতে Human Resource এর Minimum involvement দিয়ে শুধুমাত্র সিস্টেমের উপর ভর করে তা সম্পাদন করা সম্ভব। এভাবে একাউন্টস্ যেমন সঠিক সময়ে প্রণয়ন করা সম্ভব হবে, অডিটও তেমনি Strengthen ও Real time এ করা সম্ভব হবে।

>> Download





Top